research

রাবির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মিলনমেলায় স্মৃতি রোমন্থন

Apr 21, 2020

রাবির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মিলনমেলায় স্মৃতি রোমন্থন

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  যুগান্তর রিপোর্ট

 

উম্মুক্ত জায়গা নয়, একটি বড়সড় হলরুমে মিলিত হয়েছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীরা। পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে ছুটে আসেন তারা। দলমত, বয়স-পেশা নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হন প্রাণের উচ্ছ্বাসে। যেন তাদের একটাই পরিচয়- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাকরাইল ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে সংগঠনটির প্রীতিসম্মিলন, বার্ষিক সাধারণ সভা ও অভিষেক-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। আশির দশকের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সদ্য সাবেক হওয়া শিক্ষার্থীরা যোগ দেন এ অনুষ্ঠানে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এছাড়া দর্শক সারিতে ছিলেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২ হাজার অ্যালামনাই অংশ নেন এ মেলবন্ধন অনুষ্ঠানে।

বয়স যাই হোক, সময় যতই গড়াক, ব্যক্তি জীবনের সব পরিচয় ছাপিয়ে একটি দিন সবার পরিচয় এক হয়ে গেল। সবাই রাবির সাবেক শিক্ষার্থী, সবার জীবনে মিশে আছে একটি প্রতিষ্ঠান। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, রাবি আমার যেন সঙ্গী। যতদিন বেঁচে থাকব তার সঙ্গেই থাকব। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি বলেই আজ আমি প্রতিষ্ঠিত। আমরা যারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে বের হয়েছি সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালে রাবি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ অনার্স ও ১৯৬৭ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। হাজারও স্মৃতি রয়েছে শিক্ষা জীবনে, যা এখনও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায় বলে জানান।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু বলেন, শিক্ষা জীবন ভুলতে পারিনি, সম্ভবও নয়। রাবির সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে সব সময় গর্ব করি। আজ বšু¬-বান্ধবদের দেখে অনেক ভালো লাগল। পুরনো স্মৃতিগুলো চোখে ভেসে আসছে। সবাই দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে গেছে। সবার মতো আমি খুব গর্ববোধ করছি রাবির সাবেক শিক্ষার্থী বলে।

নুরুল ইসলাম ঠান্ডু বলেন, ‘আমাদের বড় পরিচয় যে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে স্মরণ করে সত্যের পথে থেকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

  • Share: